কোরোসল গাছ (Corossol Tree / Soursop)
পণ্যের নাম: কোরোসল গাছ
স্থানীয় নাম: সোর্সপ গাছ / গ্র্যাভিওলা বৈজ্ঞানিক নাম: Annona muricata পরিবার: Annonaceae উৎপত্তি স্থান: ক্যারিবিয়ান, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (বাংলাদেশে এখন সফলভাবে চাষ হয়)
বর্ণনা:
কোরোসল গাছ একটি চিরসবুজ, মাঝারি আকারের ফলজ গাছ, যার ফল "সোর্সপ" নামে পরিচিত। গাছটি সাধারণত ৩–৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। কোরোসল ফল আকারে বড়, সবুজ রঙের ও কাঁটার মতো খোঁচা থাকে বাইরের আবরণে। এর শাঁস সাদা, নরম, সুগন্ধি ও অতি পুষ্টিকর।
গাছের বৈশিষ্ট্য:
দ্রুত বর্ধনশীল এবং কম পরিচর্যায় বেড়ে উঠে
উষ্ণ জলবায়ু ও ভালো জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে সহজে চাষযোগ্য
পাতা, ফল, ছাল—সব অংশেই রয়েছে ভেষজ গুণ
ফল বছরে ১–২ বার পাওয়া যায়
ফলের বৈশিষ্ট্য:
বাইরের অংশ সবুজ ও খোঁচাময়
ভিতরের শাঁস নরম, সাদা, রসালো ও সুগন্ধি
স্বাদে টক-মিষ্টি মিশ্রিত
ফল খাওয়ার উপযোগী ও জুস, আইসক্রিম, ডেসার্টে ব্যবহারযোগ্য
উপকারিতা:
✅ ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান ধারণ করে (গ্র্যাভিওলিন A, annonacin)
✅ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
✅ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
✅ পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে
✅ ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারী
বাণিজ্যিক ব্যবহার:
কোরোসল ফল খাওয়ার জন্য
জুস, আইসক্রিম, চা, সিরাপ, ড্রাই ফ্রুটস ইত্যাদি খাদ্যপণ্য তৈরিতে
পাতা দিয়ে হারবাল চা ও ভেষজ ঔষধ
কসমেটিক ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যেও ব্যবহারযোগ্য
প্যাকেজিং / বিক্রয় ধরণ:
১–২ ফুট উচ্চতার চারাগাছ (পলিব্যাগে প্রস্তুত)
ফল সরবরাহ: ১–২ বছর বয়সী গাছে ফল আসা শুরু হয়
No review given yet!